নিজস্ব ডেস্ক : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ (মাগুরার কাগজ) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েই তোলপাড়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে।যদিও বিএনপি বা দায়িত্বশীল সূত্র এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যায় কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, এবং হেলিকপ্টার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিগগিরই দেশে ফিরবেন।” মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই। আইন উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন, দেশে ফেরার জন্য কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলের নেতাদের বক্তব্য ও গুলশান এভিনিউয়ের বাড়ির নীরব প্রস্তুতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এই সপ্তাহেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। তবে কৌশলগত কারণে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ প্রকাশ করা হয়নি।এদিকে, সরকার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে এবং তাকে জন্য এসএসএফ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্য থেকে আসা চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম তার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছে এবং স্থানীয় চিকিৎসক দলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করছে। ২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়া তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দলের দাবি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর একে একে সব মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
© All rights reserved © 2025 magurarkagoj.com