মাগুরায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ৫ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ারী এলাকায় শিশুটি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানেই নির্যাতনের শিকার হয় সে। ঘটনার পরপরই শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাগুরার নিজনান্দুয়ারী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বাড়ির আশপাশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নারী অধিকার কর্মী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মাগুরা শহরের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির মৃত্যু মাগুরাবাসীকে ব্যথিত করেছে। প্রশাসন দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে এবং এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই নির্মম ঘটনা সমাজের জন্য এক অশনি সংকেত, যা সকলকে নাড়া দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কত দ্রুত ও কার্যকরভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।