কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মাগুরার কাগজ)
খুলনার কয়রা উপজেলায় জামায়াতের সদর ইউনিয়নের আমির মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে তরিকুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়রা সদরের ১ নম্বর কয়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা তরিকুলের লাশ ঝুলতে দেখে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যু ঘটনার প্রায় ১৬-২০ ঘণ্টা আগে হয়েছে। ঘটনার সময় তরিকুল ছাড়া বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান বা তার পরিবারের কেউ সেখানে ছিলেন না।
নিহত তরিকুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের মধ্যম খসিয়া বুনিয়া গ্রামে। তিনি কয়রা বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন এবং জামায়াত নেতা মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তাদের বক্তব্য, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তরিকুলের দুই পা মাটিতে স্পর্শ করছিল—যা সাধারণ আত্মহত্যার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাছাড়া লাশের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, কাউকে হত্যা করে পরে ফাঁসির দৃশ্য সাজানো হয়েছে হতে পারে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, “ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তরিকুলের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল কি না, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তিনি জানান, তরিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি শাহ আলম।
© All rights reserved © 2025 magurarkagoj.com