নিউজ ডেক্স : ৬ নভেম্বর ২০২৫( মাগুরার কাগজ)
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের রবিশাট গ্রামে আ.লীগ নেতার মারধরের বিচার না পেয়ে বিএনপির এক কর্মী বাহারুল ইসলাম বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষপান করেছেন। আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মাগুরা-১ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মনোয়ার হোসেন খানকে স্বাগত জানাতে শ্রীপুর ওয়াপদা বাজারে বাহারুলসহ কয়েকজন বসেছিলেন। মিন্টুর সাথে দল না করার কারণে বাহারুলকে মারধর করা হয়। পরিবার ও পরিচিতরা অভিযোগ করছেন, মারধরের সঠিক বিচার না পেয়ে ক্ষোভে তিনি বিষপান করেন।
মোঃ আবু সুফিয়ান বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে আমরা মাগুরা-১ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মনোয়ার হোসেন খানকে স্বাগত জানাতে শ্রীপুর ওয়াপদা বাজারে বসে আছি আমরা। তখন হঠাৎ করে লিটন আমাকে ডাক দেয় এবং বলে তোমরা মিন্টুর দলে চলে আসো তখন আমি বলি না আমরা ফরিদের দল করি, তাদের কাছে না শুনে আমি কিছু বলতে পারছিনা। আমরা ১৬ বছর নির্যাতিত হয়েছি। তোমরা যদি মিন্টুর সাথে না চলে আসো তাহলে একটারে যে ভাবে মেরেছি ঠিক ওইভাবেও তোমাদেরকে আমরা মারবো কথা মনে রেখ। তখন আমি আমি বলি আমরা বিএনপি করি। ১৬ বছর মার খেয়েছি জেল কেটেছি আমি আমার ভাই ভাতিজা সহ সবাই । এখন বিএনপি আসছে, এখনো যদি নির্যাতিত হও আমরা তাহলে আমরা যাব কোথায়।
তিনি আরোও জানান, মোঃ বাহারুল কে মারধর করছে এর বিচার না পেয়ে তিনি, বিষ পান করতে বাধ্য হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলার যুবদলের সভাপতি, মোঃ জিয়াউল হক ফরিদ জানান, গতকালকে হঠাৎ আমাকে বাহারুল ফোন করে বলেন, বাবলু, মিজান, সাজ্জাদ এরা এসে অতর্কিত হামলা করেন। বাবলু বলেন, তোরে বলছিলাম না যেদিন মনোয়ার খান, মনোনয়ন পাবেন সেদিন তোর ঠ্যাং কাটবো বা মারবো।
তিনি আরোও জানান, এ বিষয়টাকে জেলা বিএনপি আহ্ববায়ক কে অবগত করা হয় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম কে বলা হয়। বিচার না পেয়ে সে ক্ষোভে বিষপান করে।”
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সংগ্রামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন, বাবলু, মিজান, সাজ্জাদ,কবিরুল, আয়েব। এরা সবাই ৫ তারিখের পরের বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।
শ্রীকোল ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাথে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে মোঃ ইদ্রিস আলী তিনি বলেন, এরকম কোন অভিযোগ এখনো থানায় আসে নাই।
© All rights reserved © 2025 magurarkagoj.com